পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৫: বিস্তারিত গাইড

আপনি যদি পর্তুগালে যেতে চান, তাহলে আপনার প্রথম প্রশ্নটি নিশ্চয়ই: পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৫? পর্তুগাল, ইউরোপের একটি সুন্দর দেশ, এর সমুদ্রসৈকত, ঐতিহাসিক স্থান এবং অনন্য সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।

কিন্তু যেকোনো বিদেশি দেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ হলো ভিসা আবেদন। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করবো পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৫ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনাকে পর্তুগাল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৫?

পর্তুগাল ভিসার দাম ২০২৫ সালে বিভিন্ন ধরনের ভিসার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য যা যা জানতে হবে, তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

প্রথমে, পর্তুগাল ভিসার দাম নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন ও উদ্দেশ্যের উপর। সাধারণভাবে, ট্যুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং কনসাল্টিং ভিসার জন্য আলাদা আলাদা দাম রয়েছে। যেমন ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি সাধারণত €80, আর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য €90। কাজের জন্য আবেদন করলে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফি €100 থেকে €150 পর্যন্ত হতে পারে।

প্রক্রিয়া সম্পর্কে বললে, আপনি প্রথমে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করবেন, তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে জমা দেবেন এবং আবেদন ফি পরিশোধ করবেন। পরবর্তী ধাপে সাক্ষাৎকার হতে পারে এবং এরপর ভিসার স্ট্যাটাস যাচাইয়ের জন্য আপনি পর্তুগাল ভিসা চেক সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন।

এখন আসুন, সহজভাবে সবকিছু সংক্ষেপে দেখি: নিচে, পর্তুগাল ভিসার মূল ধরন ও তাদের দাম দেওয়া হল।

  1. ট্যুরিস্ট ভিসা
    যদি আপনি পর্তুগালে ছুটি কাটাতে চান, তবে আপনি একটি শেনজেন ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত, ভিসা ফি €80 (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং €40 (শিশুদের জন্য)। তবে কিছু দেশে, বাংলাদেশ সহ, এই ফি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
  2. কর্মী ভিসা (ওয়ার্ক পারমিট)
    পর্তুগালে কাজ করতে চাইলে, আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত হতে পারে, যেমন মোটিভেশনাল ভিসা বা হায়ারিং ভিসা। এই ভিসার জন্য সাধারণত মূল্য €100 থেকে €150 হয়ে থাকে, তবে নির্ভর করে আপনার কর্মস্থল ও ভিসার শর্তের উপর।
  3. স্টুডেন্ট ভিসা
    পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি স্টুডেন্ট ভিসা দরকার। এই ভিসার জন্য ভিসা ফি €90 পর্যন্ত হতে পারে, তবে একে বলা যেতে পারে কিছুটা সাশ্রয়ী ভিসা।
  4. কনসাল্টিং ভিসা (শেনজেন ভিসা)
    পর্তুগালে বসবাস এবং কাজের জন্য যারা দীর্ঘমেয়াদী ভিসা চান, তাদের জন্য কনসাল্টিং ভিসার দাম কিছুটা বেশি। এই ভিসার জন্য আবেদন ফি প্রায় €150 হতে পারে।
ভিসার ধরনআবেদন ফিমন্তব্য
ট্যুরিস্ট ভিসা€80প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, শিশুদের জন্য €40
স্টুডেন্ট ভিসা€90পর্তুগালে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা€100 – €150কাজের জন্য প্রয়োজনীয়, নির্ভর করে কাজে
শেনজেন ভিসা€80ট্যুরিস্ট ভিসার অংশ হিসাবে ব্যবহৃত
কনসাল্টিং ভিসা€150দীর্ঘমেয়াদী বসবাস এবং কাজের জন্য

২০২৫ সালে পর্তুগাল ভিসার দাম কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এটি নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর। পর্তুগাল ভিসার দাম বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত, যেমন ট্যুরিস্ট ভিসা, কর্মী ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ইত্যাদি।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে আপনার মোট খরচ নির্ভর করবে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাপারে। ভিসার খরচের পাশাপাশি আপনার ফ্লাইট, থাকার জায়গা এবং অন্যান্য ভ্রমণ খরচও যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য ফ্লাইটের ভাড়া সাধারণত ৫০,০০০ টাকা থেকে ১,২০,০০০ টাকা হতে পারে, এবং অন্যান্য খরচের ভিত্তিতে মোট খরচ প্রায় ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

খরচের উপাদানআনুমানিক খরচ (BDT)
ভিসার ফি৭,৫০০ টাকা – ১৫,০০০ টাকা
ফ্লাইট ভাড়া৫০,০০০ টাকা – ১,৫০,০০০ টাকা
থাকার খরচ৩,০০০ টাকা – ১৫,০০০ টাকা (প্রতি রাত)
খাবারের খরচ৫০০ টাকা – ২,০০০ টাকা (প্রতি দিন)

পর্তুগাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫

২০২৫ সালে পর্তুগাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হলেও যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা হয়, তাহলে এটি সহজ হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ভিসা আবেদন ফরম পূর্ণ করতে হবে, তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত করতে হবে এবং নির্ধারিত ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। পরবর্তীতে, ভিসা আবেদনটি পর্তুগাল কনস্যুলেট বা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে জমা দিতে হবে।

কিছু ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে এবং শেষ পর্যায়ে আপনার আবেদন যাচাই হয়ে ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনি পর্তুগালে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

১. ভিসার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করা

প্রথমে, আপনাকে একটি পর্তুগাল ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি পর্তুগালের কনস্যুলেট বা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করেন, তবে বাংলাদেশের পর্তুগাল কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন সেন্টার (VFS Global) আপনার সহায়তায় আসবে।

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত করা

আপনার ভিসা আবেদন যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে থাকে:

  • পাসপোর্ট (যার মেয়াদ ৩-৬ মাস পর্যন্ত কার্যকর)
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • পাসপোর্ট সাইজ ফটো
  • ভ্রমণের রুটিন এবং বুকিং ডিটেইলস
  • আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পন্সরের মাধ্যমে)
  • প্রাসঙ্গিক ভিসার ফি পরিশোধের প্রমাণ

৩. ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ

একবার যখন আপনি ফরম পূর্ণ করবেন এবং সমস্ত ডকুমেন্ট প্রস্তুত করবেন, তখন আপনাকে ভিসার আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিসা ফি €80 এবং শিশুদের জন্য €40 হতে পারে।

৪. সাক্ষাৎকার এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন

যদি আপনার আবেদন শাখায় আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন পড়ে, তবে এটি নির্ধারিত সময়ে আপনাকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়া, আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে আপনার দেয়া ডকুমেন্টগুলো যাচাই করা হবে।

৫. ভিসা অনুমোদন

সবশেষে, আপনি যদি ভিসা আবেদন সম্পন্ন করেন, তবে পর্তুগাল কনস্যুলেট আপনার আবেদন পরীক্ষা করে অনুমোদন দিতে পারে। আপনাকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে এবং আপনার ভিসা পাসপোর্টে লাগানো হবে।

পর্তুগাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ নিয়ে নিচে টেবিল দেখুন

ধাপবিবরণ
ধাপ ১: ভিসা আবেদন ফরম পূর্ণ করাপর্তুগাল কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।
ধাপ ২: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত করাপাসপোর্ট, ফটো, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভ্রমণের রুটিন, ভিসা ফি পরিশোধ প্রমাণ, ইত্যাদি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন।
ধাপ ৩: আবেদন ফি পরিশোধআবেদন ফি নির্ধারিত পরিমাণে পরিশোধ করুন (ট্যুরিস্ট ভিসা €80, স্টুডেন্ট ভিসা €90, ইত্যাদি)।
ধাপ ৪: ডকুমেন্টস জমা দেয়াসমস্ত ডকুমেন্ট কনস্যুলেট বা ভিসা সেন্টারে জমা দিন।
ধাপ ৫: সাক্ষাৎকার (যদি প্রযোজ্য)কিছু ক্ষেত্রে, কনস্যুলেট সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকতে পারে। প্রস্তুত থাকুন।
ধাপ ৬: আবেদন যাচাই এবং ভিসা অনুমোদনপর্তুগাল কনস্যুলেট আপনার আবেদন যাচাই করে ভিসা অনুমোদন করবে এবং পাসপোর্টে সিল দেয়া হবে।

পর্তুগাল ভিসার আবেদন ২০২৫

আপনি যদি ২০২৫ সালে পর্তুগালে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে পর্তুগাল ভিসার আবেদন করতে হবে।

এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে, তবে সঠিকভাবে পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে এটি সহজ হয়ে যাবে। পর্তুগালে ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী, যেমন ট্যুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা—এগুলি আলাদা আলাদা প্রক্রিয়া এবং ডকুমেন্টস দাবি করে।

এখন, চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০২৫ সালে পর্তুগাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন করবেন।

১. ভিসার ধরন নির্বাচন

প্রথমেই, আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। পর্তুগাল ভিসার কয়েকটি সাধারণ ধরন রয়েছে:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা (শেনজেন ভিসা): পর্তুগালে সল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য।
  • স্টুডেন্ট ভিসা: পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: পর্তুগালে কাজ করার জন্য।
  • ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা: পর্তুগালে আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার জন্য।

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী এই ভিসার ধরন নির্বাচন করতে হবে।

২. ভিসা আবেদন ফরম পূরণ

প্রত্যেকটি ভিসার জন্য একটি নির্দিষ্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। পর্তুগালের কনস্যুলেট বা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ফরমটি ডাউনলোড বা অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন। এই ফরমটি সঠিকভাবে এবং পূর্ণভাবে পূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত

পর্তুগাল ভিসার আবেদন করতে হলে আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস প্রস্তুত করতে হবে। সাধারণত, পর্তুগাল ভিসার জন্য যেগুলো প্রয়োজন হয়:

  • পাসপোর্ট (যার মেয়াদ আবেদন থেকে ৩-৬ মাস পর্যন্ত)
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • পাসপোর্ট সাইজ ফটো (২টি)
  • ভ্রমণ রুটিন বা টিকিট বুকিং
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (আর্থিক সাপোর্ট)
  • আবাসন (হোটেল বা অন্যান্য থাকা ব্যবস্থা) বা স্টুডেন্ট হলে কলেজ/ইউনিভার্সিটির এডমিশন লেটার
  • ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের প্রমাণ

৪. ভিসা ফি পরিশোধ

ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। ২০২৫ সালে ভিসার ফি সাধারণত:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা: €80 (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং €40 (শিশুদের জন্য)
  • স্টুডেন্ট ভিসা: €90
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: €100 – €150

এই ফি পরিশোধ করার পর, আপনাকে এর প্রমাণ জমা দিতে হবে।

৫. ভিসা সেন্টারে ডকুমেন্টস জমা দেয়া

প্রস্তুতকৃত সমস্ত ডকুমেন্টস এবং আবেদন ফি প্রমাণ নিয়ে আপনাকে পর্তুগাল কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন সেন্টার (যেমন VFS Global) তে আপনার আবেদন জমা দিতে হবে। এখানে আপনার ডকুমেন্টস পরীক্ষা হবে এবং আপনি যদি আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূর্ণ করেন, তবে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হবে।

৬. সাক্ষাৎকার (যদি প্রযোজ্য হয়)

কিছু ক্ষেত্রে, আপনার আবেদন গ্রহণের পর কনস্যুলেট বা ভিসা সেন্টার আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে। সাধারণত, ওয়ার্ক ভিসা বা ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা এর জন্য সাক্ষাৎকার প্রয়োজন হতে পারে। তাই, প্রস্তুত থাকুন।

৭. ভিসা অনুমোদন এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ

আপনার আবেদন যাচাই করার পর, কনস্যুলেট বা ভিসা সেন্টার আপনার পাসপোর্টে ভিসা সিল বসাবে। এটি সাধারণত ১৫-২০ কার্যদিবস সময় নেবে। একবার ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার পাসপোর্ট ফিরতি কুরিয়ার বা সেন্টার থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

২০২৫ সালে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এবং শর্ত পূরণ করতে হবে। পর্তুগাল এমন একটি দেশ যেখানে বিদেশি কর্মীদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যারা দক্ষ পেশাজীবী বা নির্দিষ্ট স্কিলের অধিকারী। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হচ্ছে সেই ভিসা যা আপনাকে পর্তুগালে কাজ করার অনুমতি দেয়, তবে এই ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু প্রক্রিয়া ও শর্ত অনুসরণ করতে হবে।

এখানে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ সম্পর্কে—কীভাবে এটি প্রাপ্ত করা যায়, কোন শর্ত পূরণ করতে হবে এবং কীভাবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অর্জনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত এবং প্রক্রিয়া রয়েছে। চলুন, সেই সম্পর্কে জানি:

১. ভিসার ধরন

পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মূল উদ্দেশ্য হলো পর্তুগালে কাজ করার অনুমতি প্রদান। এই ভিসা দুই ধরনের হতে পারে:

  • ওয়ার্ক পারমিট (সাধারণ): সাধারণভাবে একটি নির্দিষ্ট চাকরি ও নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ভিসা পাওয়া যায়।
  • সিলিকন ভ্যালি বা উচ্চ দক্ষতা ওয়ার্ক পারমিট: এটি প্রযুক্তি বা বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের জন্য হতে পারে, যেমন IT, গবেষণা, বিজ্ঞান ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

২. ভিসার জন্য যোগ্যতা

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে:

  • আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ আবেদন করার তারিখ থেকে কমপক্ষে ৬ মাস থাকা উচিত।
  • আপনার কাছে কাজের জন্য একটি বৈধ অফার থাকা উচিত, অর্থাৎ আপনাকে একটি পর্তুগালী নিয়োগকর্তা অথবা কোম্পানি দ্বারা চাকরির প্রস্তাব দিতে হবে।
  • আপনার কাছে দক্ষতার প্রমাণ (যেমন প্রশিক্ষণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা) থাকতে হবে, যা আপনার কর্মক্ষমতা এবং কর্মের ধরন প্রমাণ করে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা

পর্তুগালে কাজ করতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট পেশাগত যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হতে পারে। যেমন:

  • আপনার পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ (যেমন সিভি বা রেজুমে, কাজের অভিজ্ঞতা)
  • স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষার ফলাফল এবং ক্রিমিনাল রেকর্ড সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
  • ভাষার দক্ষতা (যেমন ইংরেজি বা পর্তুগিজ ভাষা জানা) হতে পারে।

৪. পেমেন্ট প্রমাণ এবং আর্থিক পরিস্থিতি

পর্তুগাল সরকার চায় যে আপনার কাছে যথেষ্ট আর্থিক সমর্থন থাকা উচিত, যাতে আপনি পর্তুগালে পৌঁছানোর পর নিজেকে এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের সমর্থন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং আয় প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য যাত্রার সময় মূলত ফ্লাইটের ধরন, ট্রানজিটের সংখ্যা এবং যাত্রার পথের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ঢাকা থেকে পর্তুগাল (বিশেষ করে লিসবন, পর্তুগালের রাজধানী) যেতে নিম্নলিখিত ফ্লাইটের সময়কাল হয়ে থাকে:

১. সরাসরি ফ্লাইট:

বর্তমানে ঢাকা থেকে পর্তুগাল সরাসরি ফ্লাইট পাওয়ার সুবিধা খুবই সীমিত। তবে, কিছু বেসরকারি বা চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যেতে পারে। এসব ফ্লাইটের গড় সময়কাল সাধারণত ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা হতে পারে। কিন্তু, সরাসরি ফ্লাইট পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, এবং বেশিরভাগ যাত্রীকে ট্রানজিট ফ্লাইট ব্যবহার করতে হয়।

২. ট্রানজিট ফ্লাইট:

ধারণকৃত ট্রানজিট ফ্লাইটের সময়কাল সাধারণত ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা হতে পারে, তবে এটি ট্রানজিটের সংখ্যা, যাত্রাপথ এবং যাত্রীদের পছন্দের উপর নির্ভর করবে।

ফ্লাইটের কিছু সাধারণ পথ:

  • ঢাকা → দুবাই → লিসবন: এই রুটে যাত্রা করলে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। দুবাইয়ের মাধ্যমে ট্রানজিট হয়ে লিসবন পৌঁছানো হয়।
  • ঢাকা → ইস্তাম্বুল → লিসবন: এই রুটে প্রায় ১৭-১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ইস্তাম্বুলে ট্রানজিট হওয়ার পর লিসবনে পৌঁছানো হয়।
  • ঢাকা → প্যারিস → লিসবন: এই রুটে প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, যেখানে প্যারিসে একটি ট্রানজিট থাকে।

৩. ট্রানজিটের সময়:

ট্রানজিট ফ্লাইটে, ট্রানজিটের সময় এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে সময়ের তারতম্য থাকতে পারে। সাধারণত, ট্রানজিটের সময় ২ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে, যা ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইটের উপর নির্ভর করে।

৪. ফ্লাইটের সিজন এবং অগ্রিম বুকিং:

ফ্লাইটের সময় এবং খরচ সিজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। শীর্ষ পর্যটন সিজনে (যেমন গ্রীষ্মকালে) ফ্লাইটের সময়ও কিছুটা বেশি হতে পারে, কারণ অনেক সময় লম্বা ট্রানজিট এবং ভিড় থাকে। তবে, যদি আপনি অগ্রিম টিকিট বুক করেন, তবে আপনি সস্তায় এবং কম সময়ের মধ্যে ফ্লাইট পেতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সময় সাধারণত ১২ ঘণ্টা থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে, যদি সরাসরি ফ্লাইট না পাওয়া যায়। ট্রানজিট ফ্লাইটের সময়কাল বেশি হতে পারে এবং এটি নির্ভর করবে আপনি কোন ট্রানজিট পয়েন্ট ব্যবহার করছেন এবং ফ্লাইটের সময়সূচির উপর।

পর্তুগাল ভিসা ফরম বাংলাদেশ

পর্তুগালে ভ্রমণ করতে বা কাজ করতে হলে, আপনাকে পর্তুগাল ভিসা আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি সঠিকভাবে পূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোনো ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পর্তুগাল ভিসা আবেদন ফরম পূরণের পুরো প্রক্রিয়া এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

পর্তুগাল ভিসা ফরম কোথায় পাওয়া যাবে?

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ভিসা ফরম পূরণের জন্য আপনাকে VFS Global অথবা পর্তুগাল কনস্যুলেট এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। VFS Global হল একটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেনজেন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি সহজ এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।

আপনি VFS Global Bangladesh এর ওয়েবসাইটে গিয়ে পর্তুগাল ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন বা অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন।

VFS Global Bangladesh ওয়েবসাইট লিঙ্ক:

এখানে গিয়ে, আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী আবেদন ফরম নির্বাচন করতে হবে এবং সঠিকভাবে পূর্ণ করতে হবে।

পর্তুগাল ভিসা ফরম পূরণের প্রক্রিয়া

১. ফরম নির্বাচন করুন

প্রথমে আপনাকে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসার ধরন নির্বাচন করতে হবে। যেমন:

  • ট্যুরিস্ট ভিসা (ভ্রমণের উদ্দেশ্যে)
  • স্টুডেন্ট ভিসা (শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে)
  • ওয়ার্ক ভিসা (কাজের জন্য)
  • ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা (পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার জন্য)

আপনি যদি সরাসরি ভিসা আবেদন সেন্টারে যান, সেখানে আপনাকে প্রয়োজনীয় ফরম দেওয়া হবে। আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে চান, তবে ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকে ফরমটি ডাউনলোড করতে হবে।

২. ফরম পূর্ণ করা

পর্তুগাল ভিসা ফরমটি সঠিকভাবে পূর্ণ করুন। ফরমের মধ্যে আপনি যা যা তথ্য প্রদান করবেন তা হলো:

  • ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, বয়স, জাতীয়তা, জন্ম তারিখ)
  • যোগাযোগের ঠিকানা
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য (ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট, ব্যবসা ইত্যাদি)
  • পাসপোর্ট নম্বর এবং পাসপোর্টের তথ্য
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সমর্থন প্রমাণ (যাতে নিশ্চিত হয় যে আপনি ভিসা পাওয়ার পর নিজেকে সমর্থন করতে সক্ষম)
  • ভিসা ফি পরিশোধের প্রমাণ

কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে অতিরিক্ত ডকুমেন্টসও প্রদান করতে হতে পারে যেমন—কাজের প্রস্তাব (ওয়ার্ক ভিসার জন্য), স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এডমিশন লেটার ইত্যাদি।

৩. পাসপোর্ট ফটোকপি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস

ফরম পূরণ করার পাশাপাশি আপনাকে অন্যান্য ডকুমেন্টসও জমা দিতে হবে। এগুলো সাধারণত:

  • পাসপোর্ট: বৈধ পাসপোর্ট (যার মেয়াদ আবেদন থেকে কমপক্ষে ৬ মাস)
  • পাসপোর্ট সাইজ ফটো: ২টি (বর্তমান স্টাইল)
  • টিকিট বা ভ্রমণ রুটিন: পর্তুগাল যাবার পরিকল্পনা
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আর্থিক সমর্থন প্রদর্শনের জন্য

৪. ভিসা ফি পরিশোধ

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। এই ফি সাধারণত €80 (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং €40 (শিশুদের জন্য) হয়ে থাকে। ভিসা ফি পরিশোধ করার প্রমাণ ফরমের সাথে জমা দিতে হবে।

৫. ফরম জমা দেওয়া

ফরম পূর্ণ করে এবং সমস্ত ডকুমেন্টস প্রস্তুত করার পর, আপনাকে VFS Global বা পর্তুগাল কনস্যুলেট তে আপনার আবেদন জমা দিতে হবে। এখানে আপনার ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হবে এবং যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তাহলে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হবে।

৬. সাক্ষাৎকার (যদি প্রযোজ্য হয়)

কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ওয়ার্ক ভিসা এবং ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা এর জন্য আপনাকে কনস্যুলেটে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাচাই করা হয়।

৭. ভিসা অনুমোদন এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ

আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সফল হলে, সাধারণত ১৫-২০ কার্যদিবস পর, কনস্যুলেট বা ভিসা সেন্টার আপনার পাসপোর্টে ভিসা সিল বসাবে এবং আপনি তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

পর্তুগাল বেতন কত ২০২৫

পর্তুগাল ২০২৫ সালে বিশ্বের একটি উন্নত অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বিবেচিত হলেও, এখানকার গড় বেতন অনেক দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। তবে, এটা বিভিন্ন খাতের উপর নির্ভর করে। পর্তুগাল সরকারের মুদ্রা ইউরো (EUR) এবং প্রতি বছর এই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বেতন পরিবর্তিত হয়।

পর্তুগালে গড় বেতন দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থান, কর্মের ধরণ এবং পেশাগত যোগ্যতা অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। কিছু সেক্টরে যেমন প্রযুক্তি বা স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভালো বেতন প্রদান করা হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা অপেক্ষাকৃত কম হতে পারে।

এই আর্টিকেলে আমরা পর্তুগাল বেতন কত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বিশেষ করে, কোন সেক্টরে কেমন বেতন পাওয়া যায়, গড় বেতন কত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

পর্তুগালের গড় বেতন

২০২৫ সালের পর্তুগালের গড় মাসিক বেতন প্রায় €1,250 – €1,400 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৩০,০০০ – ১,৪৫০০০ টাকা) হয়ে থাকে। তবে এটি একটি গড় পরিসংখ্যান, এবং বিভিন্ন খাত, অবস্থান এবং দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে এই পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।

পর্তুগালে বিভিন্ন সেক্টরে গড় বেতন

যতটা বলা হয়, পর্তুগালের বেতন ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরের ওপর নির্ভর করে, যেমন:

  • স্বাস্থ্য খাত: ডাক্তার বা নার্সদের জন্য বেতন বেশ ভালো হতে পারে, গড় বেতন প্রায় €2,500 – €4,000 মাসিক।
  • আইটি সেক্টর: প্রযুক্তি বা সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য বেতন সাধারণত বেশি, গড় বেতন প্রায় €2,000 – €3,500 মাসিক।
  • মুক্ত পেশা (ফ্রীল্যান্স): বিভিন্ন ফ্রীল্যান্স কাজের জন্য, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি, তাদের বেতন যথেষ্ট ভ্যারিয়েবল এবং কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।
  • খুচরা ও পরিষেবা খাত: এখানে সাধারণত কম বেতন দেওয়া হয়, যা প্রায় €800 – €1,200 মাসিক হতে পারে।

পর্তুগালের শহর ভিত্তিক বেতন

বেতন পরিমাণ শহরের ওপরও নির্ভর করতে পারে। লিসবন এবং পোর্তো শহরগুলোতে সাধারণত বেশি বেতন প্রদান করা হয়, কারণ এই শহরগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি থাকে। অন্যদিকে, পর্তুগালের ছোট শহর বা গ্রামীণ এলাকায় বেতন কম হতে পারে।

সেক্টরগড় বেতন (EUR)বেতন পরিসীমা (EUR)
স্বাস্থ্য খাত€2,500 – €4,000€1,500 – €4,500
আইটি/টেকনোলজি সেক্টর€2,000 – €3,500€1,800 – €5,000
ফাইন্যান্স এবং ব্যাঙ্কিং€2,000 – €3,000€1,500 – €4,000
খুচরা/পরিষেবা খাত€800 – €1,200€700 – €1,500
মার্কেটিং/বিক্রয়€1,200 – €2,500€1,000 – €3,000
ইঞ্জিনিয়ারিং€2,000 – €3,000€1,500 – €4,000
শিক্ষা/অ্যাকাডেমিক€1,200 – €2,200€1,000 – €2,500
কৃষি/গ্রামীণ কাজ€800 – €1,200€700 – €1,500

পর্তুগাল বেতন কত এই প্রশ্নের উত্তর সেক্টর, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং অবস্থান অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, সাধারণভাবে গড় বেতন অনেক দেশের তুলনায় কম হলেও কিছু সেক্টরে আইটি, স্বাস্থ্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বেতন তুলনামূলকভাবে ভালো।

আপনার যদি পর্তুগালে কাজ করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে সঠিক পেশা ও দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আপনি অনেক ভালো বেতন পেতে পারেন।

পর্তুগাল ভিসার আবেদন ফরম এবং প্রক্রিয়া

প্রতিটি ভিসা আবেদনকারীর জন্য পর্তুগাল ভিসার আবেদন ফরম পূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরমটি আপনাকে পূর্ণ ও সঠিকভাবে পূর্ণ করতে হবে। ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন নাকচ হতে পারে।

পর্তুগাল ভিসা চেক করার উপায়

পর্তুগাল ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে চাইলে, আপনি পর্তুগাল ভিসা চেক সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ দেশেই ভিসার আবেদনের স্থিতি জানার জন্য অনলাইন পোর্টাল থাকে যেখানে আপনার আবেদন আইডি দিয়ে আপনি চেক করতে পারবেন।

FAQs: পর্তুগাল ভিসা সম্পর্কিত

১. পর্তুগাল ভিসা পেতে কত সময় লাগে?

এটি নির্ভর করে আপনার ভিসা আবেদন ধরনের উপর। সাধারণত, শেনজেন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ১৫ থেকে ২০ কার্যদিবস সময় নেয়।

২. বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ভিসা আবেদন কোথায় করা যায়?

বাংলাদেশ থেকে আপনি VFS Global এর মাধ্যমে পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও, পর্তুগাল কনস্যুলেটের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করা যেতে পারে।

৩. পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা কিভাবে পাবো?

আপনি যদি পর্তুগালে কাজ করতে চান, তবে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি একটি চাকরির অফার পাওয়ার পর পর্তুগালের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন অফিসে এই আবেদন করতে পারেন।

শেষ কথা।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৫—এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে জানার জন্য আপনাকে বুঝতে হবে যে, ভিসার দাম বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। যেমন, আপনি কী ধরনের ভিসা আবেদন করছেন—ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট, বা ওয়ার্ক ভিসা, তার ওপর ভিসার ফি পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণভাবে, শেনজেন ভিসার জন্য €80 (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং €40 (শিশুদের জন্য) ফি ধার্য করা হয়। তবে, অন্যান্য ধরনের ভিসার জন্য যেমন ওয়ার্ক পারমিট বা ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসার ফি কিছুটা বেশি হতে পারে।

এছাড়া, ফি ছাড়াও ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত কিছু খরচ যেমন ভিসা সেন্টার ফি বা ডাকখরচও থাকতে পারে। তাই, আপনার ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ করার আগে সবগুলো খরচের বিষয়টি স্পষ্ট করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পর্তুগাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করেন, তাহলে এই প্রক্রিয়া বেশ সহজ এবং ঝামেলাহীন হবে।

সর্বশেষ, ভিসার দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও, আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়ার সব দিক খেয়াল রেখে ভিসা প্রাপ্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

Leave a Comment